রজত  শুভ্র  চ্যাটার্জি  

০৯১

আজ ১৫ জানুয়ারি, চুনী গোস্বামীর জন্মদিন। থাকলে, ৮৭ হতেন।  আজ মোহনবাগান ক্লাবে, চুনীদা র নামে ক্রিকেট একাডেমীর উদ্বোধন হোলো। পুরনো কত মানুষের সাথে দেখা হোলো !

ভালো লাগে, এই ভেবে যে অল্প বয়স থেকেই কত মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি ! এদের কারো সাথে পরিচয়ে পেয়েছি, দুরন্ত আন্তরিকতা আবার মুখ চেনা অবস্থায়ও রয়েছি অনেকের সাথেই। তবু নাম গুলো যখন একে একে চোখের সামনে উঠে আসে, তখন নিজেই বিস্ফোরিত হই – কি করে, আমার মত এক আউলা বাউল, উড়নচণ্ডী,  দিগ্বিদিক শূন্য, প্রায় কিছুই না করতে পারা একটা মানুষ এতো সব রথী  মহারথীদের  সংস্পর্শে আসতে পারলাম।

নামগুলো প্রায় সবকটি বেশ ভারী।

আমার সারাজীবনের হিরো আমার বাবা, আমার মমতাময়ী মা, ও আমার শ্বশুর মশাই কে এই তালিকায় রাখছি না। বাবার শেষ শয্যায় তাকিয়ে ডঃ কালীকিঙ্কর  ভট্টাচার্য আমার কাঁধে হাত রেখে বলেছিলেন – এমন সৎ, uncompromising character – আমি জীবনে দেখিনি। আগামি বছর  মায়ের জন্ম শতবর্ষ । টিকে  থাকলে, মা কে নিয়ে কিছু করা যাবে।  নিপাট ভদ্রলোক, আমার  শ্বশুর মশাই  আমাকে বলতেন, “লাট সাহেব, টেনশন করাটা তোমার একটা লাক্সারি!”

সাত দশক ধরে জীবনে তো কম মানুষ দেখলাম না। ধূর্ত, স্বার্থপর এতো দেখেছি, তবু, তাদের সরিয়ে কিছু উজ্জ্বল গুনী মুখই আমার চোখে ভাসে।  খেলেছি  ক্রিকেট আর টেনিস। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত মেলা আয়োজন  করেছি আর কিছু লেখালেখি করেছি। এই দৌলতেই যাদের সান্নিধ্য মনে রাখার মত, তাদের জন্য আমার এই নৈবেদ্য। অবশ্যই পারিবারিক সম্পর্ক এড়িয়েই ।

চুনী গোস্বামী। পাতৌদির নবাব। এদেরও এই তালিকায় রাখছি না। এরা দুজন আমার স্বপ্নের জগতের। Infatuated Hero.

সুবল দা। সুবল বসু। আমার প্রধান শিক্ষক – সরিষা রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে। বালিগঞ্জ গভঃ হাই স্কুল থেকে সরিষা গিয়েছিলাম ক্লাস নাইনে। তিন/চার বছরে স্কুলে থাকাকালীন যে স্নেহ, মমতা এবং শাসন পেয়েছি তা এই জীবন কিছুটা গড়ে দিতে সাহায্য করেছিল। এতো ভালবাসলেও , সমাজবিদ্যায় কম নম্বর পাওয়াতে, সুবল দা আমাকে ক্লাস টেন এ প্রমোশন দেন নি।  দুবছর পরতে হয়েছে আমাকে ক্লাস টেন এ। কিন্তু, এই সুবল দা আমাকে গড়ে নিয়েছিলেন রামকৃষ্ণ ভাবধারায় । উদ্দাম, উচ্ছল, দুরন্তপনা করা এক কিশোরকে মাটি চিনিয়েছিলেন এই সুবল দা। আমার একমাত্র সন্তান কে নিয়ে যেদিন ওঁর কাছে গিয়েছিলাম, সেদিন উনি প্রায় অন্ধ। তবু ছেলের হাত ধরেই বলেছিলেন, তুই অভিষেক তো? তুই খুব ভালো হবি। ঠাকুরের আশীর্বাদ রইল। সেই মুহূর্তে, আমার জীবন পাত্র উচ্ছলিয়া মাধুরি ঝরে  পড়েছিল।

প্রকাশ পোদ্দার । আমার শেষ ক্রিকেট ক্যাপ্টেন । ইন্ডিয়া স্কোয়াডে ছিলেন বহুদিন  ষাটের গোঁড়ায়। ‘৭৪ এ,  বরিষা স্পোর্টিং মাঠে আমাদের খেলা। প্রকাশ দা আউট   হয়ে, আমাকে নিয়ে মাঠ ঘুরছিলেন। সেই সময়ে আমায় বলেছিলেন, “ দ্যাখ, তুই যা খেলিস, এতে কোনদিন  তোর রঞ্জি খেলা হবে না। খুব ভাল একটা চাকরি পেয়েছিস (GKW)। ওটাই মন দিয়ে কর। ক্রিকেট প্র্যাকটিস করতে চাইলে, যেদিন খুশি চলে আসবি ক্লাবে। কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু, চাকরিটা কর মন দিয়ে। এই রকম একটা বিশ্বাস  যোগ্য, স্নেহ মাখা কথা এর আগে বা পরে, কেউ আমাকে বলে নি।

সেই সময়ে ক্লাবের ফুটবল টিমে ছিল সুভাষ ভৌমিক, সুরজিত সেনগুপ্ত, সুধীর  কর্মকার,  গৌতম সরকারের মত প্রতিভারা। সব্বাই আমার থেকে ছোটো, তবু ওরই মধ্যে, সুভাষ ছিল আন্তরিক। যদিও যথেষ্ট ডাকাবুকো। সেই বন্ধুত্ব  অটুট ছিল বলেই আমার একটি ফুটবল সংক্রান্ত বইএর মুখবন্ধ লিখেছিল আর ওই বই প্রকাশে ২০২১ এ সুভাষ ছিল অন্যতম অতিথি। তারপর আর মাত্র কয়েক মাস ও বেঁচে ছিল।

কর্ম জীবনের মধ্য গগনে পেয়েছিলাম পেসি দাদিনাকে চেয়ারম্যান হিসেবে।  রুপবান মার্জিত এক পার্সি। উনি আমাকে হাতে ধরে বিজনেস কি, সেটা শিখিয়েছিলেন। আর ঠিক  করেছিলেন আমার আদব কায়দা। নব্বই এর গোঁড়ায়  ওঁর সাথেই আমার প্রথম ইংল্যান্ড , দক্ষিন আফ্রিকা সফর। ওই সময়ে, ওই সংস্থায় পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা, শ্যমল কুমার মিত্রর সাথে। শ্যামলদা আজো আমার   ফিলসফার, ফ্রেন্ড এন্ড গাইড । কত কিছু যে শিখলাম আর পেলাম এই বন্ধু দাদার  কাছ থেকে তা বলার নয়।  আজো দুজনে একসাথে টেনিস খেলতে যাই ।

সত্যকৃষ্ণ  দাশশর্মা। এডি ব্লকে আমার বাবার সমবয়সি। আমাকে সেই ‘৭৬ থেকেই ডাকতেন, ‘প্রিন্স’ নামে, খোলাখুলি । প্রশ্রয়, স্নেহ এবং সাহস জুগিয়েছিলেন এই   দাশশর্মা মেশমশাই। বহুকাল।

চাকুরী জীবনের (GKW) প্রথম দিনেই আলাপ প্রীতিশ নন্দীর সাথে।  আমরা ছিলাম ম্যানেজমেন্ট ট্রেনী । প্রীতিশ, বয়েসে কিছু ছোটো হলেও, তখনই ছিল পাবলিক রিলেশনস অফিসার। বছর চারেক প্রায় পাশাপাশি বসে কাজ করেছি। অসাধারন আড্ডা বাজ। ওই অল্প বয়েসেই দেখেছি ওর মেধা। কবিতা, প্রবন্ধ লেখার পাশাপাশি এডিটিং। ওর প্রধান কাজ ছিল, GKW News – পাক্ষিক ট্যাবলয়েড প্রকাশ করা। পরে যে প্রীতিশ এতো বিখ্যাত এক কবি, জার্নালিস্ট  হয়েছিল, তার বীজ বপন শুরু হয়েছিল ৭২ সালেই। বহু সিনেমা পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছে। মঞ্চে বিখ্যাত সব নাটক করিয়েছে । শিব সেনার এম পি হয়েছে। এক সার্থক জীবন কাটিয়ে গেল।

৮০ র দশকে যখন লেখালেখি শুরু করি, সেই সময়ে এডিটর পেয়েছিলাম অশোক দাশগুপ্তকে। প্রথম আলাপে অশোক বলেছিল, অল্প লিখুন, ভালো লিখুন। কথা রেখেছি, অল্প লিখে। ভালো লিখেছি কি না, পাঠক বলবেন। কৃতজ্ঞ ।

অল্প বয়েসের বন্ধু ভাই সুমন চট্টোপাধ্যায়। আনন্দবাজারের এডিটর ছিলো। পরে, কলকাতা টিভি, স্টার আনন্দ এই সব টিভি চ্যনেলের জনক। প্রকৃত পক্ষে সুমন বন্ধু ছিল আমার ছোট ভাই ও আমার  গৃহিণীর।  জার্নালিস্ট হিসেবে যে উচ্চতায় উঠেছে , তার সঠিক মূল্যায়ন – আজো সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ওর প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ওর কথার একটা ওজন আছে। যা অনেকের মধ্যে পাইনি। খুব কাছের একজন মানুষ হয়ে সুমন আজো আছে নিয়মিত যোগাযোগে। একেবারে  বাড়ির ছেলের মত।

দেবাশীষ দত্ত ও গৌতম ভট্টাচার্য। আমার দেখা দুই দুরন্ত স্পোর্টস  জার্নালিস্ট। লেখক জীবনে পেয়েছিলাম দেবাশীষ কে বন্ধু ভাই হিসেবে প্রথম। পরামর্শদাতা হিসেবে দ্বিতীয়। ওর প্রশ্রয়ে প্রচুর লেখা হয়েছে। বই প্রকাশও হয়েছে। পৃথিবীর কোন  ক্রিকেট মাঠে কখন উপস্থিত থাকবে, একটা সময়ে ও নিজেই জানত না। এই মেলবোর্ন তো কালই অকল্যান্ড। পরের সপ্তাহে হয়তো জোহানেসবারগ অথবা  লর্ডস।  অসম্ভব সব রোমাঞ্চকর খেলার কাহিনী, যা দেবাশীষ উপহার দিয়েছে ।    এবং, তৃতীয়ত এখন তো আমরা দুজন বেয়াই সম্পর্কে গত ১৭ বছর।  উথাল পাথাল জীবনের এক শান্তিময় পরিচ্ছদ, ওর মেয়ের সাথে আমার ছেলের বিয়ে  হওয়া।  জীবনে আমার যত আনন্দ – পাওয়া গিয়েছিল ওই সময়ে।

গৌতম এক অসম্ভব প্রিয় লেখক। পরিচয় বহু বছর আগে, আমার হবু (তখনো) বউমার অন্নপ্রাশনে।  ওর লেখা, ক্রিকেট, ফুটবল নিয়ে, গোগ্রাসে পড়তে   হবে। ওর বেশ কিছু বই  আমার  লাইব্রেরীতে সাজানো।  স্বীকার করে কৃতজ্ঞতা জানাই – আমার একটি বই এর এমন রিভিউ গৌতম লিখেছিল সংবাদ প্রতিদিনে, যার দৌলতে সেই বই, ২০২২ এর বইমেলায় প্রচুর বিক্রি হয়েছিল।

সাগর সেন।  অনুপ ঘোষাল। এদের গানের প্রেমে আমি অল্প বয়েসেই কুপোকাত।  সাগর দা র সাথে পরিচয় দিদির শিক্ষক হিসেবে। পরে ঘনিষ্ঠটা । ওই  রবীন্দ্রসঙ্গীত এর পরে আর শুনিনি। অনুপ ঘোষাল সম্পর্কে ছিল আমার ভায়েরা ভাই। আমার এক শালীর সাথে ওর বিয়ে হওয়ার অনেক আগেই ওর মুখে ‘হীরক রাজার দেশে’  র গান  শুনিয়েছিল।  পারিবারিক আড্ডায়, কত রকমের গান যে ওর থেকে পেয়েছি তার হিসেব নেই।

উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত আয়োজনে কাছে পেয়েছি ও দেখেছি এমন সব পণ্ডিত, উস্তাদ ও  বিদুষীদের, যে আলাদা করে নাম লেখা কঠিন। তবু এদের মধ্যে, আমার প্রিয় কিছু নাম – যেমন শিব কুমার শর্মা, হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, অনিন্দ্য  চ্যাটার্জি, কৌশিকী চক্রবর্তী, অজয় চক্রবর্তী, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, গিরিজা দেবী ,মালবিকা কানন, মনিলাল নাগ – উজ্জ্বল হয়ে আছেন তাদের সঙ্গীতের জন্য। তাদের সৌজন্য ও আন্তরিকতার জন্য। রাশিদ খান একটি বিশেষ নাম। ৯ জানুয়ারী ২০২৫ ওর চলে যাওয়ার এক বছর হোলো। ওকে  ঠুমরী গাইতে বললেই বলতো – হোবে হোবে, সবুর সয়েন দাদা । মার্গ সঙ্গিতের এক সুর সাধক আজ সুরালোকে ।

গোবিন্দ বোসু , শিপ্রা বসু । কত্তা গিন্নী । একজন  তবলিয়া। আর একজন, চিন্ময় লাহিড়ী ও আখতারি বাইএর কাছে তালিম নেওয়া গাইয়ে। আমাদের সখ্যতা এমন  পর্যায়ে পৌঁছেছিলো,  যে ওরা আমাদের বাড়িতে আসতই রাত এগারোটার পরে। তারপর শুরু হোতো গান বাজনা। আহা কি গান গাইতো শিপ্রা বউদি। মধ্য রাত শেষ করে খাবার দিলেও গান চলতেই থাকতো । শিপ্রা বউদি, আমার বউকে সুগন্ধি জরদার নেশা ধরিয়েছিলো। আহা, ম ম করত ওই গন্ধে। চলে গেলো অসময়ে, ২০০৮ এ, আমাদের অনেককে ভাসিয়ে। গোবিন্দদা র সাথে মাঝে মাঝে কথা হয়। সেই সব রাতের কথা উঠলে, আমরা চুপ হয়ে যাই ।

শেষ করবো, অহঙ্কার শূন্য, প্রচারের আলোর বাইরে থাকা, অসাধারন এক  সঙ্গীত  শিল্পী কে নিয়ে। ভি বালসারা।

মেহেরালি রোড আর সার্কাস রেঞ্জ এর ক্রসিংএ একতলার ফ্ল্যাটে থাকতেন। আমার এক মহিলা সহকর্মী  জয়েশ ডিমেলো, ওই বাড়ির চারতলায় থাকতো। একদিন জয়েস জোর করে বালসারা দের ফ্ল্যাটে আমায় নিয়ে ঢুকে গেলো। আমরা পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকেছিলাম। দেখি ভি বালসারা শেখাচ্ছেন, সামনে বসে, দাঁড়িয়ে অন্তত ৩০ ছাত্র ছাত্রী। অবাক  চোখে সেই প্রথম দেখলাম একজন প্রকৃত গুনী শিল্পী কে। হারমোনিয়াম বাজাতে বাজাতে, চলে যাচ্ছেন পিয়ানোতে। সেখানে দাঁড়িয়ে মাউথ হারমোনিয়াম বাজালেন। হয়তো, এরপর বাঁশী বাজালেন। তুলে নিলেন ইউনিভক্স, মেলোডিকা, স্যাক্সোফোন। একই সাথে তবলা, বঙ্গো, ড্রাম। বিস্ফোরণ  ঘটলো, যখন দেখলাম, অবলীলায় উনি সেতার বাজাচ্ছেন । একটু পরেই অর্গান।

একই  গানের (ওই ভুবন মন মোহিনি..) বিভিন্ন রূপ বোঝাচ্ছেন শিক্ষার্থীদের। মিনিট কুড়ি পর সম্বিৎ ফিরে আমাদের দিকে।  জয়েস আলাপ করিয়ে দিতে, উনি বললেন, মাঝে মাঝে আসবি। প্রথম আলাপেই তুই সম্বোধন। আমি তখন তিরিশের শেষ কোঠায়। সেই অসম্ভব আন্তরিকতা মন ছুয়ে গেল। এরপর একাই অনেকবার  গিয়েছি আর পেরেছি, সহজ, সরল এক পবিত্র জীবনবোধ উপলব্ধি করতে। এক অনাড়ম্বর জীবনে কি সব ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর করেছেন। পিয়ানোতে ওর জুরি মেলা ভার। পরে, ব্রায়ান সিলাস খুব ভালো পিয়ানো বাজিয়েছে। ওর বাড়িতেই প্রথম এক সুস্বাদু পার্সি খাবার খেয়েছি। ‘ধান শাক’। ডালের মধ্যে মাংস আর প্রচুর শাকসব্জি, ক্যা্রামেল দেওয়া পেয়াজ ও ক্যা্রামেল দেওয়া সাদা ভাতের সাথে। পরে,  ডাঃ  জারিন দাদিনার হাতেও ‘ধান শাক’ খেয়েছি, সপরিবারে। ওই আরো একজন  স্নেহময়ি মায়ের মত।

চলে যাবার যারা চলে গেছেন। রেখে গেছেন ওঁদের অমুল্য জীবন বোধ। যারা  আছি, স্বস্তিতে বলতে পারি, ওঁদের সান্নিধ্য পেয়েছিলাম বলেই জীবনটা রসকষ হীন হয়ে যায়নি।

“ আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহ দহন লাগে – তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে “।

concluded..

2 COMMENTS

  1. Borda,
    Darun lekha. Shudhu ekta proshno, tabla e tomar kaar bajna shob theke bhalo lage?
    Tomar jibone tumi kaar theke (kono ekhon hote hobe) tumi shob theke shamriddho hoyechhe?
    Jethu ke je ami alpo shomoy peyechhi tatei ami dhonyo. Jethima ke na pabar dukkho theke jabe chirokal.

    • Tabla : Pt. Kanai Dutta and Kishern Maharaj to my most pleasure.
      Kono Ekjon : No doubt, my Father. He was ‘Herr Hitlar, yet, whatever I am today, its bcz of him.
      Our mother was close to God. She was different and those who could not get her touch, I must say, are most unfortunate.

Leave a Reply to Indrani Chatterjee Cancel reply

Please enter your comment!
Please enter your name here